চৌহালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়ারদের (এমএইচভি) বেতন-ভাতা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. আবদুল কাদের নিয়মের বাইরে ভাতার টাকা কেটে নিয়েছেন। তবে এ কর্মকর্তার দাবি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশেই এ টাকা নেয়া হয়েছে।
এমএইচভি কর্মীরা জানান, গত বছরের সেপ্টেম্বরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কমিউনিটি বেজড হেলথ কেয়ার অপারেশনাল প্ল্যানের আওতায় চৌহালী উপজেলায় ১০৫ জন মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়ার নিয়োগ দেয়া হয়। উপজেলার ১৫টি কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতিটিতে নিয়োগ পান সাতজন।
তাদের অভিযোগ, মাসিক বেতন-ভাতা হিসাবে প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবীর ৩ হাজার ৬০০ টাকা দেয়ার কথা। মঙ্গলবার প্রত্যেকের ৪ মাসের বেতন হিসাবে ১৪ হাজার ৪০০ টাকা করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। তবে হাসপাতাল থেকে তাদের দেয়া হয় ১০ হাজার ৪০০ টাকা। বেতন প্রাপ্তির তালিকায় অবশ্য ১৪ হাজার ৪০০ টাকা দেয়া হচ্ছে বলে স্বাক্ষর নেয়া হয়।
চৌহালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেচ্ছাসেবক মোশারফ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের চার মাসে বেতন আসছে ১৪ হাজার ৪০০ টাকা। এখানে সিগনেচার শিটে ১৪ হাজার ৪০০ টাকা লেখা আছে, কিন্তু আমাদের দেয়া হচ্ছে ১০ হাজার ৪০০ টাকা। আর টাকা কই তাহলে?’
অভিযোগের বিষয়ে চৌহালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও আবদুল কাদের বলেন, ‘এমএইচভিদের অ্যাকুরেট টাকা দেয়া হচ্ছে। আমরা ১০ শতাংশ ভ্যাট হিসাবে ১ হাজার ৪৪০ টাকা, ৫ শতাংশ অডিট ফি বাবদ ৭২০ টাকা, গত বছরের ৫ মাসের ১০ শতাংশ হিসাবে ১৮০০ টাকা এবং ৪০ টাকা ডাকটিকিট ফি হিসাবে প্রত্যেকের কাছ থকে ৪ হাজার টাকা কেটে রেখেছি।
গত বছরের ভ্যাট এ বছর কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওই সময় কোনো নির্দেশ ছিল না, তাই এই বছর ওই টাকা কাটা হচ্ছে।’
ওই টাকার উপর নতুন অর্থবছরে ভ্যাট নেয়ার নির্দেশ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি।
সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. রামপদ রায় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১০ শতাংশ ভ্যাট ও অডিট ফি বাবদ তিন থেকে ৫ শতাংশ কাটার নতুন নির্দেশনা এসেছে এবার। তবে চার হাজার টাকা কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।’